বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ১৯তম ফুডটেক প্রর্দশনী
বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গণে অনুষ্ঠিত ১৯তম ফুডটেক প্রর্দশনী, রাজ্য সরকারের ১০ লক্ষ টাকা ভর্তুকি ঘোষণা খাদ্য প্রকল্পের জন্য
কলকাতায় বিশ্ব বাংলা মিলন মেলা প্রাঙ্গনে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প বিভাগের মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুব্রত সাহা 19তম আন্তর্জাতিক ফুডটেক 2022 প্রদর্শনীর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন, উক্ত অনুষ্ঠানে দেশি বিদেশি মিলিয়ে ১৪০ টিরও বেশি ফুড ও হসপিটালিটি সংস্থার লিডিং ব্র্যান্ড অংশগ্রহণ করে। এটি সমগ্ৰ পূর্ব ভারতের একটি বৃহত্তম ফুড ও হসপিটালিটি এক্সপো হিসেবে স্বীকৃতি লাভ করেছে যার আয়োজনে আছে এই ইন্ডাস্ট্রির সাতটি বৃহৎ বিজনেস আসোসিয়েটসরা । মেলাটি চলবে ২৬–২৮ আগস্ট সকাল ১০ থেকে ৬ অবধি। এটি একটি মেগা বিজনেস টু বিজনেস ইভেন্ট যেখানে প্যাকেজিং, মিষ্টান্ন, বেকারি, ডেইরি এবং হোটেল এবং সংশ্লিষ্ট পরিষেবা খাত থেকে অংশগ্রহণকারীদের আকর্ষণ করার চেষ্টা করা হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে মাননীয় মন্ত্রী শ্রী সুব্রত সাহা।বলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার মন্ত্রিসভার বৈঠকে রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিভিন্ন প্রকল্পকে 10 লক্ষ টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি দেওয়ার প্রস্তাব পাস করেছে। ভর্তুকির এই পরিমাণ ভবিষ্যতে আরও বাড়ানো হতে পারে যাতে আরও বেশি লোককে এর আওতায় আনা যায়।এপ্রিলে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিট 2022 থেকে, 2000 কোটি টাকারও বেশি মউ বিভিন্ন দেশী এবং বিদেশী উদ্যোক্তাদের সাথে স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে তিনি জানান। এছাড়াও ঐ অনুষ্ঠানে উপস্থিত এন কে কাপুর অ্যান্ড কো প্রাইভেট লিমিটেডের ডিরেক্টর শ্রী রচিত কাপুর বলেন “গত দুই বছর সমস্ত শিল্পের জন্য একটি বড় চ্যালেঞ্জ ছিল।
দেশের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্প অটোমেশনের মাধ্যমে স্বাস্থ্যবিধি এবং প্যাকেজিংয়ের উপর বিশেষ জোর দিচ্ছে এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিয়ম গুলি মেনে চলার জন্য নতুন ব্যবসায়ি এবং উদ্যোক্তাদের অবগত করানোর ওপর জোর দেওয়া হচ্ছে।” এছাড়াও অনুষ্ঠানে উপস্থিত পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অধিনস্থ ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রিজের ডিরেক্টর জয়ন্ত কুমার আইকাত জানান পশ্চিমবঙ্গ সরকার রাজ্যে খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ শিল্পের সুবিধার্থে এবং প্রচারে সক্রিয় এছাড়াও রাজ্যের খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ খাতে বিনিয়োগ করতে চাওয়া উদ্যোক্তাদের তারা পূর্ণ সমর্থন প্রদান করে। সর্বোপরি এই 19তম ইন্টারন্যাশনাল ফুডটেকের আহ্বায়ক মিঃ জাকির হোসেন বলেন মহামারীর প্রভাব হিসাবে, বিশ্বব্যাপী খাদ্য উৎপাদনে ক্ষেত্রে একটি বিরাট পরিবর্তন এসেছে। যার দরুন অটোমেশন, স্বাস্থ্যবিধি এবং নিরাপত্তা এই শিল্পে একটি নতুন প্রেরণা পেয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ বিভাগ, ফুডটেক কলকাতার প্যাভিলিয়নের মাধ্যমে, রাজ্যে MSME খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ ইউনিট স্থাপনের জন্য বিভিন্ন স্কিম এবং ভর্তুকি সংক্রান্ত তথ্য তুলে ধরছে। ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটি অফ ইন্ডিয়া প্রথমবারের মতো এই শিল্পের উদ্যোক্তাদের খাদ্য নিরাপত্তা এবং মান সম্পর্কে অবগত করানোর জন্য ব্যবস্থপনা ও রেখেছে। এক্ষেত্রে ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ প্যাকেজিং তরুণ শিক্ষার্থীদের জন্য প্যাকেজিং শিল্পের বিভিন্ন প্রযুক্তিগত কোর্স তুলে ধরবে এবং খাদ্য প্যাকেজিংয়ের আধুনিক ধারণা সম্পর্কে তাদের অবহিত করবে। এই বৃহৎ সমারোহ তে একই ছাদের নিচে হোটেল, মিষ্টান্ন প্রস্ততি, ক্যাটারিং সরঞ্জাম, টেবিলওয়্যার, খাদ্য প্যাকেজিং প্রযুক্তি, হোটেল, ফুড প্যাকেজিং টেকনোলজি বানিজ্যিক রেফ্রিজারেশন বাঙালি মিষ্টান্ন সহ বিভিধ প্রর্দশনী আয়োজন করা হবে।