৫০০ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তি। অযোধ্যায় মহা ধুমধাম করে উদ্বোধন হল রাম মন্দিরের।
এক শতাব্দি ধরে চলা আইনি টানাপোড়েন। তিন বছর ধরে দিন-রাত করে নির্মাণ। সর্বোপরি ৫০০ বছরের বন্দিদশা থেকে মুক্তি। অযোধ্যায় মহা ধুমধাম করে উদ্বোধন হল রাম মন্দিরের। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার। জন্মভূমিতে স্বসম্মানে বিরাজমান ভগবান রাম। গর্ভগৃহের অন্দরে বেজে উঠল সিঙা। সানাইয়ের সুরে ধ্বনিত হল ‘রঘুপতি রাঘব রাজা রাম’। ৮৪ সেকেন্ডের পবিত্র মুহূর্তে ঘপচল ৫০০ বছরের বন্দিদশা। ঘুরল ইতিহাসের চাকা। প্রতিশ্রুতি পূরণ করে নরেন্দ্র মোদী দেখিয়ে দিলেন, ‘মন্দির ওয়াহি বন গয়া।’
মোদীর হাতে রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা
২২ জানুয়ারি, ২০২৪। দিনটি ভারতের ইতিহাসে এবার থেকে স্বর্ণখচিত হয়ে রইল। রামনগরী অযোধ্যায়, সরযূ নদীর তীরে প্রাণ প্রতিষ্ঠা হল রামলালার। ভক্তি আর আবেগে ভাসল গোটা দেশ। বেলা ঠিক ১২টা বেজে ২০ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাত দিয়ে শুরু হয় অনুষ্ঠান। ৮৪ সেকেন্ড ধরে চলে প্রাণ প্রতিষ্ঠার পবিত্র মুহূর্ত। প্রধান যজমানের ভূমিকায় নরেন্দ্র মোদী। তিনি ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে অংশ নেন ১৪ জন যজমান দম্পতি।
প্রায় আট হাজার অতিথির উপস্থিতিতে, আলো ঝলমলে সুসজ্জিত অযোধ্যায় এই মহোৎসব পালিত হল। সশরীরে রাম জন্মভূমি উপস্থিত থাকতে না পারলেও রামলালার প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবে অংশ নেন গোটা দেশের কোটি কোটি মানুষ। এদিনের অনুষ্ঠানে রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেই উপস্থিত ছিলেন RSS প্রধান মোহন ভাগবত। তারকাখচিত অযোধ্যায় রয়েছেন সস্ত্রীক মকেশ আম্বানি, বিরাট কোহলি, সচিন তেন্ডুলকর, অনীল কুম্বলে, রূণবীর কপুর ও আলিয়া ভট্ট, ভিকি কৌশল ও কাটরিনা কাইফ, অনুপম খের, কঙ্গনা রানাউত সহ অন্যরা।
রামময় ভারত
দেশের গণ্ডি ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও রাম মন্দিরের প্রাণ প্রতিষ্ঠা সমারোহ নিয়ে উন্মাদনা ছিল তুঙ্গে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ব্রিটেন, কানাডা থেকে শুরু করে অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ডের মানুষও রামনাম জপ করেন দিনভর। দেশ হোক বা বিদেশ এই ৫০ মিনিটের প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের সময় রাম ভক্তরা আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন।
১৯৯২ সালের ‘মোদী ওয়াহি বানায়েঙ্গে’ থেকে শুরু। আর এখন রাম ভক্তদের মুখে মুখে ‘আওয়াধ মে রাম আয়ে হ্যায়’। শুভ মুহূর্তে প্রাণ প্রতিষ্ঠা উৎসবের সময় এই রাম ভক্তদের উন্মাদনা ছিল চোখে পড়ার মতো। জয় শ্রীরাম ধ্বনিতে মুখরিত হয়ে ওঠে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী।