গবেষণায় ধরা পড়েছে করোনার আলফা এবং ডেল্টা দুটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভ্যাক্সিন কার্যকরী।
সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে এলেও ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণের প্রতি বিশেষ জোর দিচ্ছে গোটা বিশ্ব। নয়া ত্রাস ছড়িয়েছে করোনার ডেল্টা প্রজাতি। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ইতিমধ্যেই ডেল্টা প্রজাতিকে নিয়ে উদ্বেগের কথা জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার ডেল্টা প্লাস স্ট্রেনকে ‘ভ্যারিয়েন্ট অফ কনসার্ন’ আখ্যাও দিয়েছে। তবে মার্কিন গবেষণার ফলাফলে আপাতত স্বস্তি বোধ করছেন বিশেষজ্ঞরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশানাল ইনস্টিটিউট অফ হেলথের সাম্প্রতিকতম গবেষণায় ধরা পড়েছে করোনার আলফা এবং ডেল্টা দুটি স্ট্রেনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কোভ্যাক্সিন কার্যকরী। গবেষণার জন্য কোভ্যাক্সিনের ডোজ পেয়েছেন এমন প্রাপ্ত বয়স্কদের রক্তের সেরাম নিয়ে তাঁরা পরীক্ষা করেছেন। তাতে দেখা যাচ্ছে, বি.১.১.৭ ভ্যারিয়েন্ট অর্থাৎ আলফা প্রজাতি এবং বি. ১.৬১৭ যা ডেল্টা প্রজাতি, এই দুটির বিরুদ্ধে লড়তে সক্ষম কোভ্যাক্সিন টিকা। এছাড়াও এআইএইচের একটি গবেষণাতেও ধরা পড়েছে কোভ্যাক্সিনের ডোজ নেওয়ার পর প্রাপ্ত বয়স্কদের রক্তের সেরামে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে, যা আলফা এবং ডেল্টা প্রজাতির সংক্রমণ রোধ করতে সাহায্য করে। ভারত বায়োটেক এবং আইসিএমআর মিলিত হয়েই ভারতে এই ভ্যাকসিন প্রস্তুত করছে। সম্প্রতি কোভ্যাক্সিনের তৃতীয় পর্যায়ের ট্রায়াল শেষ হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, করোনার দ্বিতীয় বর্ষেই ট্রায়ালের ফলাফল ঘোষণা করা হবে। যদিও দ্বিতীয় ট্রায়ালের শেষেই সংস্থার তরফে ঘোষণা করা হয়েছিল এই ভ্যাকসিন করোনার সংক্রমণ রুখতে কার্যকরী। করোনার উপসর্গ রয়েছে এমন ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে ৭৮ শতাংশ এবং উপসর্গ নেই এমন রোগীদের ক্ষেত্রে ৭০ শতাংশ সুরক্ষা দেবে কোভ্যাক্সিন। এমনকি কোভ্যাক্সিনের দুটি ডোজ নিলে করোনা রোগীদের হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার সম্ভাবনা ১০০ শতাংশ কম বলেও ঘোষণা করেছে সংস্থা।