অশোকনগরে তেলের কুয়ো ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ভাণ্ডার, রাজ্যে আসছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান
অবশেষে বিশ্বের তেল মানচিত্রে নিজের জায়গা খুঁজে পেতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গ। বেশ কয়েক দশক ধরে এমনই দাবি করে আসছিল তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাস অনুসন্ধানকারী সংস্থাগুলি। সেই সম্ভবনা যে সত্যি বৃহস্পতিবার তা জানিয়ে দিলেন কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম ও প্রাকৃতিক গ্যাস মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান। তিনি জানান, কলকাতা থেকে ৪৭ কিলোমিটার দূরে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার অশোকনগরে ভূগর্ভস্থ মজুত তেলের বাণিজ্যিক উৎপাদন দ্রুত শুরু করতে চায় কেন্দ্র।
চলতি মাসের গোড়ার দিকেই অশোকনগরে মাটির তলায় খুঁজে পাওয়া তেল পরীক্ষার জন্য হলদিয়ায় ইন্ডিয়ান অয়েলের পরিশোধনাগারে পাঠায় ওএনজিসি। আর তার রিপোর্টে জানানো হয়েছে, ওই তেল বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করা যেতে পারে।
এদিন বণিকসভা এমসিসিআই–এর অনলাইন বার্ষিক সাধারণ সভায় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান জানান, আগামী সপ্তাহে অশোকনগরে হাবড়া–নৈহাটি সড়কের পাশে বাইগাছি মৌজায় তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের ওই বৃহৎ ভাণ্ডার দেখতে যাবেন তিনি। এই প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গে বাণিজ্যিকভাবে তেল উত্তোলন ও উৎপাদনের বিষয়ে কেন্দ্র যথেষ্ট আশাবাদী বলেও এদিন জানান মন্ত্রী।
উল্লেখ্য, সুন্দরবনের নিকটবর্তী বঙ্গোপসাগরে এমন বেশ কিছু তেলের কুয়োর সন্ধান মেলে। কিন্তু সে সব বাণিজ্যিকভাবে অযোগ্য বলে প্রমাণিত হলে গত ২ বছর ধরে স্টেকহোল্ডাররা তাঁদের উত্তেজনা চেপে রেখেছিলেন। কিন্তু এবার আর বিফলে যায়নি সমস্ত পরিকল্পনা। সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, অশোকনগরে একটি গ্যাসের কুয়ো থেকে প্রতিদিন এক লক্ষ ঘনমিটারের কিছু বেশি গ্যাস ও তেলের কুয়ো থেকে দিনে ১৫–১৮ ঘনমিটার (১ ঘনমিটার = ১ হাজার লিটার) অপরিশোধিত তেল উৎপাদন করা সম্ভব।
জানা গিয়েছে, তেল ও গ্যাস উৎপাদন করার জন্য ১০০টি কুয়ো খনন করা প্রয়োজন। তার জন্য রাজ্য সরকারের কাছ থেকে আপাতত সাড়ে তিন একরের মতো জমি পেয়েছে ওএনজিসি। কিন্তু, এই মুহূর্তে উৎপাদনের খাতিরে দরকার আরও ২০ একর জমি। রাজ্য সরকারের কাছে ইতিমধ্যে সে ব্যাপারে প্রস্তাব দিয়েছে সংশ্লিষ্ট সংস্থা। বলা বাহুল্য যে উৎপাদিত তেল ও প্রাকৃতিক গ্যাসের রয়্যালটি বাবদ বছরে কোটি কোটি টাকা রাজস্ব পাবে রাজ্য সরকার।