টুইটবার্তায় মমতা বলেন, ‘লখিমপুর খেরির বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।
উত্তরপ্রদেশে গাড়িতে ‘পিষে’ কৃষকদের ‘হত্যার’ ঘটনার তীব্র নিন্দা করলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইসঙ্গে বিজেপিকে আক্রমণ শানিয়ে জানালেন, আগামিকাল তৃণমূল কংগ্রেস পাঁচ সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। রবিবার রাতের দিকে একটি টুইটবার্তায় মমতা বলেন, ‘লখিমপুর খেরির বর্বরোচিত ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। কৃষকদের প্রতি বিজেপির এই উদাসীনতায় আমি অত্যন্ত ব্যথিত। আগামিকাল তৃণমূলের পাঁচ সাংসদের একটি প্রতিনিধি দল মৃতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবে। আমাদের কৃষকদের প্রতি সর্বদা আমাদের নিঃশর্ত সমর্থন আছে।’ লখনউয়ে উত্তরপ্রদেশের পুলিশ সদর দফতরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, রবিবার লখিমপুর খেরিতে বিকেলের দিকে যখন কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন, তখন একটি গাড়ি তাঁদের পিষে দিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনায় চার কৃষক-সহ আটজনের মৃত্যু হয়েছে। চারজন ওই গাড়িতে ছিলেন। লখিমপুর খেরির জেলা সদর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে তিকোনিয়া নামে যে জায়গায় সেই ঘটনা ঘটেছে, সেখানে ইতিমধ্যে রওনা দিয়েছে উত্তরপ্রদেশ পুলিশের অতিরিক্ত ডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) প্রশান্ত কুমার এবং অন্যান্য শীর্ষ কর্তারা। হিংসার আশঙ্কায় এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। পাঠানো হয়েছে তিন কোম্পানি আধা-সামরিক বাহিনী। রবিবার লখিমপুর খিরি জেলায় উপ-মুখ্যমন্ত্রী কেশবপ্রসাদ মৌর্যের একটি অনুষ্ঠান ছিল। তাঁকে কালো পতাকা দেখানোর জন্য অনেক কৃষক জমায়েত শুরু করেন। নয়া কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে থাকেন। কিন্তু পুলিশ এবং বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে তাঁদের বচসা শুরু হয়ে যায়।তিকোনিয়ার এক পুলিশকর্মী জানিয়েছেন, বনবীরপুর গ্রামে উত্তরপ্রদেশের উপ-মুখ্যমন্ত্রী আসার কয়েক মিনিট আগে ধুন্ধুমার বেঁধে যায়। তিকোনিয়া-বনবীরপুর রোডে দুটি গাড়ি বিক্ষোভরত কৃষকদের পিষে দেয়। গাড়িতে বিজেপির পতাকা লাগানো ছিল বলে একটি মহল থেকে দাবি করা হয়েছে। একটি মহলের দাবি, আদতে ওই গাড়ি চালাচ্ছিলেন বিজেপি সাংসদের ছেলে। যদিও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের রাষ্ট্রমন্ত্রী অজয় মিশ্র টেনিকে উদ্ধৃত করে সংবাদসংস্থা এএনআই জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে ছিলেন না তাঁর ছেলে। তাঁর পালটা দাবি, কৃষক বিক্ষোভের সময় গাড়ি লক্ষ্য করে পাথর ছোড়া হয়। তাতে আহত হন গাড়ির চালক। তার জেরে গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। গাড়ির তলায় পিষে গিয়ে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। সেইসঙ্গে মৃত্যু হয়েছে তাঁদের তিনজন কর্মীর। তারপর তাঁদের গাড়িতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।