পলতা–নবাবগঞ্জ ফেরিঘাট উদ্বোধন হল
২০১৭ সালের ২৬ এপ্রিল। হঠাৎ আসা বাণের জেরে জেটি ভেঙে গঙ্গায় তলিয়ে যায় শতাধিক মানুষ। ঘটনাকে কেন্দ্র করে সেদিন ব্যাপক উত্তেজনা ছড়ায় ভদ্রেশ্বর থানার অন্তর্গত তেলেনিপাড়া গঙ্গা ঘাট এলাকায়। গঙ্গার বাণে ভেসে যায় ভুটভুটি। ঘটনায় বেশ কয়েক জনের মৃত্যু হয়। আহত হয় বেশ কয়েকজন। সেই দুর্ঘটনার পর থেকে টানা ছয় বছর বন্ধ হয়ে পড়েছিল জেলার সমস্ত অস্থায়ী জেটিঘাট। গত ডিসেম্বর মাসে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেন হুগলির বেশ কয়েকটি জেটিঘাট। সেই সময় উদ্বোধন হয়নি পলতা ফেরিঘাট। অবশেষে বহু প্রতীক্ষার অবসান হল। চাঁপদানীর বিধায়ক অরিন্দম গুইনের হাত ধরে পলতা–নবাবগঞ্জ ফেরিঘাট উদ্বোধন হল।
জেলার বিভিন্ন অস্থায়ী ফেরিঘাটের মধ্যে অন্যতম ব্যস্ততম ফেরিঘাট হল নবাবগঞ্জ ফেরিঘাট। প্রতিদিন এই ফেরিঘাট দিয়ে প্রায় দশ হাজার মানুষের যাতায়াত। জেটি বন্ধ থাকার ফলে মানুষকে প্রায় ১০ কিমি ঘুরপথে যাতায়াত করতে হচ্ছিল। ফলে সমস্যায় ছিলেন সাধারণ মানুষ। এদিন সেই সমস্যার অবসান ঘটল। চাঁপদানীর পুরপ্রধান সুরেশ মিশ্র জানিয়েছেন, ‘আগামী ১০ তারিখ থেকে ১টি করে মোট ২টি লঞ্চ ঘাট পারাপার করবে। পরিষেবা মিলবে সকাল সাড়ে ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত। প্রতিদিন প্রায় ৫ থেকে ৭ হাজার মানুষ প্রতিনিয়ত পারাপার করতে পারবে।’ বিরোধীদের উদ্দেশে অরিন্দম গুইন বলেছেন, ‘যাঁরা ক্রমাগত সমালোচনা করে, তাঁরা যোগ্য জবাব পেয়েছে। উন্নয়ন কাকে বলে সেটা মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি দেখিয়েছেন।’ দোল, হোলি ও সবেবরাত উৎসব থাকার কারণে আপাতত দুটো দিন ট্রায়াল চলবে। নদীর নাব্যতা এবং লঞ্চের যাত্রী পরিবহন ক্ষমতা পরীক্ষা করে দেখা হবে। ঘাট চালু হওয়ায় উপকৃত হবেন ভদ্রেশ্বর, বৈদ্যবাটি চাঁপদানী এলাকার বাসিন্দারা।