পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে একাধিক রিলিফ দিলেন নির্মলা।
করোনা আবহে সবচেয়ে বেশি বিধ্বস্ত হয়েছে পর্যটন শিল্প। গণপরিবহণ দীর্ঘদিনের জন্য বন্ধ থেকেছে। লকডাউন, আংশিক লকডাউন লেগেই রয়েছে গত বছর থেকে। ফলে পর্যটন শিল্প কার্যত এখন তলানিতে। তাই পর্যটন শিল্পকে চাঙ্গা করতে একাধিক দাওয়াই দিলেন নির্মলা। ২০২২ সালের ৩১ মার্চ পর্যন্ত ৫ লক্ষ পর্যটক ভিসা বিনামূল্যে অনুমোদন দেওয়ার কথা এ দিন জানান নির্মলা সীতারামন।
কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী জানিয়েছেন, একজন পর্যটক কেবল একবারই এই সুবিধা পাবেন। এর জন্য অর্থমন্ত্রক ১০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকার দ্বার স্বীকৃত ট্যুর গাইডদের জন্যও আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা করেছেন নির্মলা। অর্থমন্ত্রক জানিয়েছেন ট্যুর গাইড ও এজেন্সিগুলির জন্য সামান্য কিছু শর্তেই ১০০ শতাংশ গ্যারান্টিতে মিলবে এই খাতে ঋণ।
দেশের আয়ের একটা বড় অংশ আসে পর্যটন শিল্প থেকে। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন জানিয়েছেন, ২০১৯ সালে দেশে ১ কোটি ৯ লক্ষেরও বেশি পর্যটক এসেছিলেন। তাঁরা ২৩ হাজার ২৭৮ কোটি টাকা খরচ করেছেন। দৈনিক একজনের খরচ ২৪০০ টাকা। করোনা আবহে সেই আয় আসেনি। গত মে মাসেই কেরলের পর্যটন মন্ত্রী কে সুরেন্দ্রন জানিয়েছিলেন, লকডাউনের ফলে রাজ্যের প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকা ক্ষতি হয়েছে।
দেশের বেহাল অর্থনৈতিক অবস্থাকে চাঙ্গা করতে পর্যটন ছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে একাধিক ঘোষণা করেন নির্মলা। যার মধ্যে স্বাস্থ্যখাতে ৫০ হাজার কোটি টাকা ও অন্যান্য খাতে ৬০ হাজার কোটি টাকা ঘোষণা করেন তিনি। পাশাপাশি করোনা বিধ্বস্ত ক্ষেত্রগুলিতে ১.১ লক্ষ কোটি টাকা বরাদ্দ করে ঋণ ঘোষণা করার কথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী।