রেললাইনে অবৈধ দোকানপাট, ট্রেনের হুইসেলে ওঠে বসে
নারায়ণগঞ্জ ১ নং রেলগেট। বাংলাদেশ। রেললাইন থেকে কোয়ার্টার ইঞ্চি দূরত্বে গড়ে উঠেছে অবৈধ দোকানপাট। অথচ ১ ঘণ্টা পর পরই যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করছে ট্রেন।
রেললাইনের দুইপাশের দোকান গুলোতে বাঁশ দিয়ে ত্রিপল টাঙিয়ে গড়ে উঠেছে দোকান। ট্রেন আসার সঙ্গে সঙ্গেই বাঁশ ধরে ত্রিপল গুছিয়ে রাখে, হুইসেল বাজিয়ে ট্রেন চলে গেলে আবার মেলে ধরে।
সরেজমিনে দেখা যায়, রেললাইনের উভয় পাশ ঘেঁষে বিপজ্জনকভাবে বিভিন্ন প্রকার ফল, হলুদ, মরিচ, শুঁটকি, আসবাবপত্র ও কাঁচাবাজারসহ প্রায় শতাধিক অবৈধ দোকানপাট বসেছে।
ফল ব্যবসায়ী জামাল জানায়, সংসার চালাতে ঝুঁকি নিয়েই রেললাইনের পাশে দোকান নিয়ে বসেছি। কিছুই করার নেই। ফলে অবৈধ দোকানি ও ক্রেতারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কেনাবেচা করছে। কিছু দোকানপাট রয়েছে যে ট্রেন আসলে ট্রেনের গায়ের সাথে লেগে যায়।
প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এভাবেই চলছে রেললাইনের দুই পাশে অবৈধ জমজমাট দোকানপাট। প্রায় সময় ঘটছে ভয়াবহ দুর্ঘটনা।
ফুট অনুযায়ী মাপ দিয়ে দোকানের এডভান্স দিতে হয়। রেললাইনের পাশে পাঁচ ফুট জায়গায় চায়ের দোকানের জন্য ৫ হাজার টাকা এডভান্স দিতে হয়েছে চায়ের দোকানের জন্যে।
আবার প্রতিদিন সন্ধ্যায় দোকানের চাঁদাও দিতে হয় পুলিশ ও স্থানীয় নেতাকর্মীদের, এমন অভিযোগ রয়েছে। মধু মিয়া নামের এক ব্যক্তি জানান, আমার এখানে পাঁচটা দোকানের পজিশন নেয়া আছে। আমি ২টা দোকান করি বাকিগুলা ভাড়া পাই।
নারায়ণগঞ্জে ২০১৯ সালের ১৮ অক্টোবর উচ্ছেদ অভিযান চালিয়েছে রেলওয়ে। এতে প্রায় এক কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের জমি অবৈধ দখল থেকে মুক্ত করা হয়েছিলো। কয়েকদিন যেতে না যেতেই দখল হয়ে যায় রেললাইনের দু’পাস। অবৈধভাবে দোকানপাট বসেছে তার জন্য মোটা অংকের টাকা দিতে হয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের।